তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে পিপলস লিজিংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৭১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৪১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ টাকা ৬৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪৫ টাকা ৬০ পয়সা (লোকসান)। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৩ পয়সা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ২৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৭ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি পিপলস লিজিং। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৮ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২৪ টাকা ৫৬ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর কখনোই নগদ লভ্যাংশ দেয়নি।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।

ওইদিন ১ লাখ ৪০ হাজার ১২৪টি শেয়ার মোট ৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।