তেলসমৃদ্ধ কিরকুকে ফের সেনা মোতায়েন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ শহর তেলসমৃদ্ধ কিরকুকে ফের সেনা মোতায়েন করেছে বাগদাদ। গত রোববার সরকারি বাহিনীর সদস্যদের সেখানে মোতায়েন করা হয়। খবর: মিডল ইস্ট মনিটর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, সেনারা এলাকাটিতে পৌঁছানোর অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সেখানে মোতায়েন করা হয়। এলাকাটি থেকে সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী প্রত্যাহারের পর তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে নতুন সামরিক ইউনিট।
গত ডিসেম্বরে কিরকুক থেকে সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদী। কিরকুক পুনর্দখল করতে সরকারি বাহিনীর অভিযানে গত বছর ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় তেলক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হয়। এক বছর বন্ধ থাকার পর কিরকুক তেলক্ষেত্র থেকে আবার রফতানি শুরু করেছে ইরাক।
কিরকুক শহরটি কুর্দিস্তানের মধ্যে অবস্থিত না হলেও কুর্দিরা এ শহরটিকে তাদের প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করে। বাগদাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করে। কিরকুকেও ওই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কুর্দি বাহিনীর হাত থেকে কিরকুক পুনর্দখল করে নিতে অভিযান শুরু করার পর প্রায় বিনা বাধায় সরকারি বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। অভিযান শুরুর এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকি সশস্ত্র যানগুলো সরকারি দফতরগুলোর দখল নেয়। আঞ্চলিক সরকারনিয়ন্ত্রিত অফিস-আদালত ও বিমানঘাঁটির দখলও নেয় সরকারি সেনারা। সব তেলক্ষেত্র থেকে দিনে সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করে কুর্দিস্তান। বাই হাসান, হাবানা ও বাবা গারগার তেলক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর সেখান থেকে কুর্দিদের পতাকা নামিয়ে ফেলে ইরাকি বাহিনী। এ তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পর কুর্দি প্রকৌশলীরা উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে পালিয়ে যান। এর পর থেকেই বন্ধ ছিল কিরকুক তেলক্ষেত্র।