শেয়ার বিজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও ভাইরাসটির নতুন ‘ধরন’ শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টে নিকোলাস মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানি তেলনির্ভর দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভঙ্গুর। এজন্য জ্বালানি তেলের বিনিময়ে কভিড ভ্যাকসিন চান মাদুরো। তিনি কভিড টিকার দাম জ্বালানি তেলের মাধ্যমে পরিশোধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।
তবে, নিষেধাজ্ঞাকবলিত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো এমন প্রস্তাব দিলেও কীভাবে এ পদ্ধতি কাজ করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। মাদুরো বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলের তেল পরিবাহী জাহাজ আছে এবং ক্রেতাও আছে, যারা আমাদের তেল কিনবে। আমরা তেলের বিনিময়ে টিকা নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তবুও আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে লাতিন আমেরিকার এ দেশটি তাদের তেল তেমনভাবে কোনো দেশের কাছে বিক্রি করতে পারছে না। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশে দেশটির শতকোটি ডলার ফ্রিজ হয়ে আছে।
গত সপ্তাহে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, দেশের বাইরে ৭০০ কোটি ডলারের মতো অর্থ বিদেশে আটকা পড়ে আছে। জব্দ রয়েছে অনেক সম্পত্তিও। তিনি এসব অর্থছাড়ের দাবি জানিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ভেনেজুয়েলা সরকার টিকা কিনতে না পারলেও দুই মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছে কারাকাস। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
দরিদ্র দেশগুলোকে টিকা দেয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে কোভ্যাক্স নামে যে স্কিম গঠন করা হয়েছে, জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটির কাছে বকেয়া অনেক অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় সেসব টিকাও পাচ্ছে না ভেনেজুয়েলা।
এদিকে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী গত ২১ মার্চ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ভেনেজুয়েলায়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এখন দেড় লক্ষাধিক। এর মধ্যে দেড় সহস্রাধিক মারা গেছে।