তেল সরবরাহকারী সৌদি আরব

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরানের দুঃসময়ের কারণে শীর্ষস্থান দখল করেছে সৌদি আরব। আগস্টে টানা দুই মাসের মতো শীর্ষস্থান দখল করে দেশটি। তবে তেলক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে চলতি মাসে সৌদি আরব এ অবস্থান হারাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর: রয়টার্স।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীনে আগস্টে ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টন বা প্রতিদিন ১৮ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ করেছে সৌদি আরব। এর আগে জুলাইয়ে ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টন তেল সরবরাহ করা হয়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ছিল প্রায় দ্বিগুণ।
তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইরান থেকে চীনের জ্বালানি তেল আমদানি অনেক কমেছে। আগস্টে দেশটি থেকে সাত লাখ ৮৭ হাজার ৬৫৭ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। এর আগে জুলাইয়ে এর পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ২৬ হাজার ১১৯ টন। এক বছর আগে যা ছিল ৩২ লাখ ৮০ হাজার টন।
আগস্টে চীনের আমদানি করা জ্বালানি তেলের মধ্যে অধিকাংশই গেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জিনঝাউ এবং তিয়ানজিন বন্দর দিয়ে। সেখানে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগার এবং বাণিজ্যিক ট্যাংক রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি কৌশলগত মজুদ বৃদ্ধি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীন বলেছে, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশটির মজুদে বড় প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে কৌশলগত পেট্রোলিয়াম মজুদ এবং বাণিজ্যিক বিভাগ রয়েছে। সেখানে ৮০ দিন চলার মতো মজুদ রাখার সক্ষমতা রয়েছে চীনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুড আমদারি পরিমাণ গত মাসে ছিল প্রায় ১০ লাখ টনের বেশি। এর আগে জুলাইয়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ লাখ টন। নতুন করে শুল্কারোপ করার কারণে সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে চীনের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ‘খারাপ চুক্তি’ গ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী রাশিয়া থেকে আগস্টে ৬০ লাখ টনের বেশি তেল আমদানি করেছে চীন। জুলাইয়ে এর পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ টনের বেশি। আর গত বছরের আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ লাখ ৭০ হাজার টন।