শেয়ার বিজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো বড় ধরনের জয় নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে লিবারেল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং ফেউ থাই পার্টি সেনাসমর্থিত জোটের থেকে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে। খবর: রয়টার্স।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না হলেও প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জয়ের দিক থেকে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি শীর্ষে রয়েছে। এর পরের অবস্থানে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাসিত নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফেউ থাই পার্টি।
এ দুই দল থাইল্যান্ডের জান্তার রাজনৈতিক দল পালাং প্রাচারাত এবং সেনাসমর্থিত দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির চেয়ে তিন গুণের বেশি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ডের বিরোধী দল ফেউ থাই বলেছে, তারা সংস্কারপন্থি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ দিতে রাজি আছে। জোট সরকারে যোগ দিতে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা তারা গ্রহণ করছে।
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাত বলেছেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি তার দলীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তার অবস্থান স্বৈরশাসক ও সেনাসমর্থিত দলগুলোর বিপক্ষে থাকবে।
ফেউ থাইয়ের প্রার্থী ৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ডের অর্জনে তিনি খুশি। তবে জোট গঠন নিয়ে আলোচনার সময় এখনও হয়নি।
তবে জোট গঠন হলেও ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর সেনা সরকার প্রণীত সংসদীয় বিধির কারণে তারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। ওই বিধি সেনাসমর্থিত দলগুলোকে সুবিধা দেয়। এখন সরকার গঠন করতে হলে বিরোধী দলগুলোকে জান্তার নিয়োগকৃত সিনেট সদস্যসহ বিভিন্ন শিবিরের কাছ থেকে সমর্থন পেতে হবে। কারও কারও সঙ্গে তাদের চুক্তিও করতে হতে পারে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং পরবর্তী প্রশাসন গঠন করবেন, তা সিনেট সদস্যদের ভোটের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়। তবে এ সিনেট সেনাসমর্থিত দলগুলোর পক্ষে।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফল থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্রদলগুলোর জন্য বড় ধাক্কা।