Print Date & Time : 3 August 2025 Sunday 12:08 pm

‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ, ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’, ‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২১’ ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ থাকবে এবং কোথাও ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে। পাশাপাশি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, চার্চগুলোয় এলাকাভিত্তিকভাবে বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে ভালো হবে।

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উš§ুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।

কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছেÑপ্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোঁটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

এছাড়া প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা এবং জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিসহ ভক্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।