দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে পড়ে অসিরা। ৭০ রান তুলতেই একে একে সাজঘরে ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, জশ ইংলিশ, মার্কাস স্টয়নিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেন মিলে জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। সেই প্রতিরোধ ভাঙে দলীয় ১৩৭ রানে। ৫১ বলে ২৭ রান করে মিচেল স্টাক মার্কো জ্যানসেনের বলে আউট হন। তার দেখানো পথ ধরে ৭৪ বলে ৪৬ করে দলীয় ১৪৩ রানে আউট হন মার্নাস লাবুশেন। এতে অস্ট্রেলিয়ার হার শুধু সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অসিরা। এতে ১৩৪ রানে জয় পায় প্রোটিয়ারা। প্রোটিয়া পেসারদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা তিন, মার্কো জ্যানসেন ও কেশব মহারাজ দুইটি করে উইকেট পান।

তার আগে লক্ষেèৗতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে  প্রোটিয়ারা করে ৩১১ রান। কুইন্টন ডি কক যেভাবে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন তাতে আরও বড় স্কোরের সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ডেথ ওভারের সময় এইডেন মারক্রাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের মতো মারকুটে ব্যাটার থাকার পরেও ওই মুহূর্তে তাদের চেপে ধরে ম্যাচে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের দারুণ বোলিংয়েই প্রোটিয়া দল বেশি দূর যেতে পারেনি। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অসিদের ক্যাচ মিসের ঘটনা না ঘটলে স্কোরটা আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ৫টি ম্যাচ হাতছাড়া করেছে অসি দল।

টস জিতে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, পিচ কেমন আচরণ করবে সেটি নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। এই কারণে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন। পরে দেখা গেলো প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তা পুরোপুরি লুফে নিয়েছেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার। শত রানের ওপেনিং জুটিই বড় স্কোরের মঞ্চ গড়ে দেয় দক্ষিণ 

আফ্রিকাকে। ১৯.৪ ওভারে দুই ওপেনার মিলে ১০৮ রান যোগ করেছেন। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাক্সওয়েল।

যদিও অপর প্রান্তে থাকা কুইন্টন ডি কককে থামানো যায়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। এই সময়ে রাসি ফন ডার ডুসেন সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করলেও ২৬ রানে আউট হয়েছেন। তার পর চলে ডি কক শো। ১০৬ বলে ১০৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েই রাশ টেনে ধরতে অবদান রাখেন ম্যাক্সওয়েল। ডি ককের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।

তার পর মারক্রাম চেষ্টা করেছেন ইনিংসটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু দ্রুত গতিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। মারক্রামকে ৪৪ বলে ৫৬ রানে থামিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। হাইনরিখ ক্লাসেনও ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে স্কোরটা তিনশ ছুঁয়েছে ডেডিভ মিলার ও মার্কো ইয়ানসেনের মিনি ঝড়ে। মিলার ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ১৭ রান করেছেন। ইয়ানসেন ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৬। 

অসিদের হয়ে ৩৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৩ রানে দুটি নেন মিচেল স্টার্কও। একটি করে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা।