দরপতনে বাজার মূলধন নেই ৫৮১০ কোটি টাকা

হাসানুজ্জামান পিয়াস: ধারাবাহিক পতনে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে পুঁজিবাজার। মাঝেমধ্যে সূচকের অবস্থা কিছুটা উত্থানের দিকে গেলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ছোট ছোট পতনের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বড় ধরনের পতন দেখা যাচ্ছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালও ৯৪ শতাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দর কমায় ডিএসইর প্রধান সূচকের বড় ধরনের পতন দেখা গেছে, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যহারে কমে যায় বাজার মূলধন।

দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের ইউনিটের বাজার মূলধন কমে গেছে পাঁচ হাজার ৮১০ কোটি টাকার বেশি। এর আগের কার্যদিবসেও এক হাজার ১৩৬ কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন কমে যায়। এ দুই দিনের ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন কমে যায় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে গতকালের বাজারচিত্রে দেখা যায়, আগের দিনের মতো গতকালও লেনদেন শুরু হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে এর পতন শুরু হয়। এতে শঙ্কিত হয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যায়, যে কারণে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের পতন অব্যাহত থাকে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এতে বাজারে ক্রেতা সংকটের ফলে ক্রমাগত পতন দেখা গেছে। 

অন্যদিকে গতকাল বড় পতনে এদিনে সূচক হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৮৮ পয়েন্ট, যা মূল সূচকের প্রায় দেড় শতাংশ। গতকাল সূচকের পাশাপাশি ৭৮ কোটি টাকার লেনদেনও কমেছে। এর আগের কার্যদিবসেও সূচকের পতন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে দিন যত যাচ্ছে ততই বাজার নিয়ে অনাস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।