দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্ত থেকে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন দামুড়হুদার ঠাকুরপুর বাজারপাড়ার মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে কদম আলী (৩৫) ও একই এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে বাবু ওরফে কালু (৩০)। আহত কদম আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, কদম আলী ও বাবু দুজন গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা গরু আনতে ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের মারধর করে মৃত ভেবে বাংলাদেশের সীমানায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। কদম আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

হাসপাতালে আহত বাবুর শয্যাপাশে থাকা তার মা রশিদা খাতুন বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ঠাকুরপুর সীমান্তের অদূরে বাংলাদেশি সীমানা থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরপুর সীমান্তে তাদের কিছু জমি আছে। ওই জমি নিয়ে তাদের এক আত্মীয়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সে কারণে তারা তাদের মারধর করেছে। জমি নিয়ে কাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল এ প্রশ্নের জবাবে রশিদা খাতুন সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

এদিকে কদম আলীর সঙ্গে থাকা লোকজন এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ঠাকুরপুর বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জানান, দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে শুনেছি। কী কারণে কারা তাদের জখম করেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে, কী কারণে কারা তাদের এভাবে জখম করেছে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, আহত কদম আলীর অবস্থা খারাপ। তার পিঠে তিনটা ক্ষতের চিহ্ন আছে, তার ডান হাতের কনুইয়ে ক্ষত আছে এবং ডান পায়ে ক্ষত আছে। রোগীর শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দিতে হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।