শেয়ার বিজ ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে রিঙ্গিতের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দাম হ্রাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দামে প্রভাব পড়েছে। গতকাল সোমবার তৃতীয় দিনের মতো এ ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল পাম অয়েলের দাম কমেছে দশমিক সাত শতাংশ। আগামী ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে এদিন প্রতি টন পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৮১৬ রিঙ্গিতে বা ৬৭৩ ডলার ২০ সেন্টে। লেনদেনের শুরুতে এর দাম দুই হাজার ৮১৬ ডলারে নেমেছিল, যা ১২ সেপ্টেম্বরের পর সর্বনি¤œ দর।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে ওইদিন সব মিলে ১৭ হাজার ৪৭৮ লট (প্রতি লটে ২৫ টন) পাম অয়েল লেনদেন হয়।
সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দরপতন পাম অয়েলের দাম কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে শুক্রবার বড় দরপতনের পর গতকাল আরও দশমিক এক শতাংশ দাম কমেছে পাম অয়েলের সমজাতীয় তেল সয়াবিনের। চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রায় এক শতাংশ।
এদিকে পাম অয়েলের দরপতনের জন্য শক্তিশালী রিঙ্গিতকেও দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল ডলারের বিপরীতে রিঙ্গিতের দাম দশমিক এক শতাংশ বেড়েছে। ওইদিন লেনদেনের শুরুতে মালয়েশিয়ার এ মুদ্রার দর গত নভেস্বরের পর সর্বোচ্চে পৌঁছায়। রিঙ্গিতের দাম বৃদ্ধি পেলে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পাম অয়েল ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। আর এ কারণেই পণ্যটির দামে প্রভাব ফেলে।
কুয়ালালামপুরের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেড ও চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সয়াবিনের দামের কথা উল্লেখ করে জানায়, বিশ্ববাজারে সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দাম কমায় পাম অয়েলের দামে প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া চীন, ইউরোপ ও ভারতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের প্রথমার্ধে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েলের রফতানি বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
বিশ্ববাজারে সমজাতীয় ভোজ্যতেলের দামের ওঠানামায় পাম অয়েলের দামে প্রভাব ফেলে।