ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে ও আহত দুই শতাধিক।
টানা পাঁচদিন ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (২৭) সকালে এক হাসপাতালে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবারের রাতের পর থেকে আর নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ‘শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব’ বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। দিল্লি পুলিশ ১৮টি এফআইআর করেছে ও গ্রেফতার হয়েছে ১০৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। বুধবার শহরের বিভিন্ন আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
ইতোমধ্যে আহত ও নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতদের দুই লাখ রুপি সরকারি ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বৈঠক করেছেন।
এঘটনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, এই সংঘাত থেকে হিন্দু বা মুসলমান কারোই কোনো ফায়দা হবে না। দিল্লির কাছে এখন দু’টো অপশন রয়েছে। হয় মানুষ একজোট হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করুক। অথবা একে অপরকে আঘাত করে হত্যা করুক।
চলমান সহিংসতা বন্ধে দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি সামলাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সুত্র:-দ্য হিন্দু, এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিন