নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিবেচনা করে লভ্যাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড: কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা ২ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ কম। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৮ টাকা ৯৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২১৬ টাকা ১৫ পয়সায়, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৬৮ টাকা ৬৩ পয়সা ও ১৯২ টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৮৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ৮২ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৬) ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৪৫ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা ১৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বা ছয় টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৫৬১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৫৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর এক হাজার ৫৫০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে এক হাজার ৫৬৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। ওইদিন এক হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ৯৪ বার হতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ২০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ৫৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৮০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড: পরিচালনা পর্ষদ সভা ২ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। তথ্যানুযায়ী কোম্পানিটি ২০১১ সাল থেকে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২১ পয়সায় এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে দায় ছিল ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছিল ১৪ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর ২০১৪ সালেও শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে দায় ছিল ১৪ টাকা ৪৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা দুই পয়সা ও ১৪ টাকা ছয় পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান ছিল ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৮ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৯২ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ পাঁচ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সর্বশেষ দর ছিল পাঁচ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে এ শেয়ার পাঁচ টাকা থেকে পাঁচ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন সাত লাখ ৬৫ হাজার ৯১২টি শেয়ার ২০৭ বার হতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৩৯ লাখ আট হাজার টাকা।