দুই ফান্ডের ট্রাস্টি সভা বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত দুই মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির সভা আগামী ৫ এপ্রিল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ফান্ড দুটির ট্রাস্টি কমিটির বৈঠক বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফান্ড দুটি হলো এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় ফান্ড দুটির তৃতীয় প্রান্তিকের অর্থাৎ ৩১ মার্চ ২০১৭ সমাপ্ত সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। ওই প্রতিবেদন থেকে ফান্ড দুটির তৃতীয় প্রান্তিকের তথ্য জানা যাবে।

এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ২০১৬  সমাপ্ত হিসাববছরে ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় ইউনিটপ্রতি আয় (ইউপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৯ পয়সা এবং ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৬ পয়সা। ২০১৫ সালে সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ফান্ডটির ইউপিএস হয়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৩ টাকা তিন পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল সাত কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ফান্ডটির রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। মোট পাঁচ কোটি তিন লাখ ৩৩ হাজার ৮০০টি ইউনিট রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ইউনিটের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ৩২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ রয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় ইউপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৫ সালে সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ফান্ডটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা ও এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১২ টাকা ৫৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৪ কোটি আট লাখ ২০ হাজার টাকা।

পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ফান্ডটির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি আট লাখ টাকা। মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩০০টি ইউনিট রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ইউনিটের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫২ দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২০ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে।