শেয়ার বিজ ডেস্ক: পশ্চিম তীরে চলতি বছরে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত ইসরাইলের প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। খবর: আল জাজিরা।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, সহিংসতার মাত্রা গত বছরের পুরোটা সময়ে যে পরিমাণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সে সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং ২০০৫ সালের পর চলতি বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক বিবৃতিতে টর ওয়েনেসল্যান্ড এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের দিকে অগ্রগতির অভাব ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় আরও ইন্ধন দিচ্ছে।
প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সহিংসতায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, তিনি বিবৃতি দেয়ার কিছুক্ষণ আগেও পশ্চিম তীরে এক ইসরাইলি সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাধানে অগ্রগতির অভাব সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবৈধ ইসরাইলি বসতি বাড়তে থাকা, ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে হামলা চালানো, ফিলিস্তিনি প্রশাসন ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান এবং ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোয় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের’ কথাও উল্লেখ করেন ওয়েনেসল্যান্ড। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভঙ্গুর আর্থিক পরিস্থিতির প্রমাণ দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর তহবিলের ঘাটতির কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেসব বিষয়কেও দায়ী করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এ বিষয়ে পরিষ্কার হয়েছেন যে, সহিংসতা অবশ্যই থামাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নেতাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, এই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করুন।