Print Date & Time : 17 August 2025 Sunday 8:02 am

দুর্নীতি না থাকলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ত: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে দুর্নীতি না থাকলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ত বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

কভিড পরিস্থিতির মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়েছে বলে কয়েকটি গবেষণা সংস্থা যে দাবি করেছে, তার সঙ্গেও তিনি দ্বিমত পোষণ করছেন। গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির আয়োজনে ‘এলডিসির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথি হয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি গত মাসে দায়িত্ব নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি একটি বড় সামাজিক সমস্যা। দুর্নীতি না থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ত। সরকার দুর্নীতিকে উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে। এলডিসি উত্তরণের পথেও দুর্নীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উত্তরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও যাতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি অব্যাহত রাখা যায়, সেজন্য সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে জিডিপি এক দশমিক তিন শতাংশ বাড়বে।

শামসুল আলম বলেন, ‘কভিড পরিস্থিতির কারণে দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ৪২ শতাংশ হয়েছে মর্মে কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে, তা সঠিক নয়। তাদের সমীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের অনেক প্রক্ষেপণও বাস্তবসম্মত নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম কর্তৃক অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা না করে শুধু কভিড রেসপন্স প্ল্যান করার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলÑতা সংবিধানবিরোধী।’

ড. আলম বলেন, কভিডের কারণে অর্থনীতিতে আঘাত এসেছে এবং তা উত্তরণে সরকার ‘যথাযথ কর্মসূচি’ গ্রহণ করেছে। তবে এটি সত্য যে আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখানে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণে নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। মুখোমুখি হতে হবে নানা চ্যালেঞ্জের। আসবে অনেক সম্ভাবনা। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ আমাদের জন্য গলার কাটা না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে মনোযোগী হয়ে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দেয়া জরুরি।

এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া চ্যাম্পিয়ান হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।