দুর্নীতি-মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য অবশ্যই দিতে হবে: প্রধান তথ্য কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ বলেছেন, এখন বিভিন্নভাবে প্রেস ব্রিফিং করে তথ্য দেয়া হয়, কারণ এটা না করলে গুজবের ডালপালা গজাবে। যে অফিসে দুর্নীতি বেশি হয়, অনেকে সেখানে ৫০টি প্রশ্ন চেয়ে বসে থাকেন। তারপর অপেক্ষায় থাকেন চা খাওয়ার দাওয়াতের। এ আইনে চা খাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য অবশ্যই দিতে হবে, সেটা যত গোয়েন্দা তথ্যই হোক। দুর্নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে কেউ বাদ নেই। এ আইনে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

গতকাল ডেইলি স্টার ভবনে এমআরডিআই ও এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার আইনে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মরতুজা আহমেদ বলেন, ‘তথ্য কমিশন যত দিন আছে, মানুষের তথ্য পাওয়ার অধিকার জীবিত থাকবে। তরুণরাই পারে তথ্য অধিকার আইনে দুর্নীতি প্রতিরোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে।’ তিনি বলেন, ‘৩০ হাজার ওয়েবসাইট আছে, প্রত্যেকটি কর্নারে তথ্য অধিকারের একটি নির্দেশনামূলক বার্তা আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে, কার কাছে যেতে হবে, তা বলা আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে খুব কম জায়গাতেই এ কর্নার আছে। আপনারা এগুলো নিশ্চিত করবেন, কারণ জনগণের জন্য এ আইন। কিন্তু সেটা জনগণের কানে নিতে পারছি কি না, সেটা খুব কঠিন ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে আমার যদি তথ্য গোপন করার ইচ্ছাই থাকে, আমি ওই তথ্য ছাড়া বাকি তথ্য দিতে উৎসাহী বোধ করব। আরেকটি বিষয় হলোÑসরকারি অফিসগুলোয় শত বছর ধরে সিক্রেসি বলে একটা পলিসি ছিল। প্রকাশ করা ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। আর এ তথ্য অধিকার আইন এসে একেবারেই পাল্টে দিয়েছে। এ শতাব্দীকালব্যাপী আমি তথ্য না দিয়ে যেভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এটি গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি করার যে ইচ্ছা মনে মনে, এ কারণে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। বিষয়টিকে ধাতস্থ করার জন্য অনেক পরিবর্তন এসেছে। যদি ইচ্ছা থাকে, তবে তথ্য দেয়া কোনো ব্যাপার নয়।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, ড. সাদেকা হালিম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ প্রমুখ।