তারল্য সংকটে ধুঁকতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আগেও আপত্তি জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। এবারও একই আপত্তি জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত সোমবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে দুর্বল ব্যাংকের তারল্য সহায়তাসহ নানা বিষয়ে জানতে চান আইএমএফ মিশনের সদস্যরা। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে দুর্বল ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার কৌশল নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে আইএমএফ। এবার সংস্থাটির কর্মকর্তারা তারল্য সহায়তা নেওয়া ব্যাংকগুলোর উন্নতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো আশা দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা। এসময় আইএমএফ মিশন পরবর্তী করণীয় নিয়ে রোডম্যাপ জানতে চায়। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কয়েকটি ব্যাংককে গ্যারান্টির বদলে সরাসরি টাকা ছাপিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। তারপরও যদি উন্নতি না হয় তবে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। সে পদক্ষেপেও দৃশ্যমান কোনো উন্নতি না ঘটলে ব্রিজ করে ব্যাংকগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার নাম করে কলমানিতে বিনিয়োগ করেছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। কেউ কেউ নিজেদের বেতন-ভাতার কাজেও তারল্য সহায়তার টাকা ব্যয় করেছে। এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। তবে আইএমএফকে বিষয়গুলো জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ আমাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রশংসা করেছে। আমরা দ্রুতই আর্থিক খাতের সংস্কার বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।