প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে সকাল গড়িয়ে বিকাল হলেও দেখা মেলেনি সূর্যের, যার ফলে কনকনে ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এই ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে অনেককে। গতকাল মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশা কম থাকলেও হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দেয় ঠাণ্ডার মাত্রা। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছে না।
উলিপুর উপজেলা দলদলিয়া ইউনিয়নের চাপড়ার পাড় এলাকার বৃদ্ধ লোকমান মিয়া (৭৫) বলেন, ?‘খুব ঠাণ্ডা আজ। হাত-পা বরফ হয়ে গেইছে। হামার মতো বুড়া মানুষগুলার খুব সমস্যা হইছে। আর সারাদিন রোদ উঠে নাই। ঠাণ্ডার কারণে পা ব্যথা করছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এরকম তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন থাকবে। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সর্দার জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ৩৮৭ রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৬০ জন। তবে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখনও বৃদ্ধি পায়নি।