Print Date & Time : 7 September 2025 Sunday 11:57 pm

দেড় বছর পর আজ খুলছে নোবিপ্রবির হল

আব্দুল কবীর ফারহান, নোবিপ্রবি: দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) হলগুলো। দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।

কভিড সংক্রমণের শুরুর দিকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সংক্রমণ এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে হল ছেড়ে দেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে অফলাইন ও অনলাইন দুই মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও এ পর্যন্ত হলে থাকার সুযোগ মেলেনি আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে দীর্ঘ ১৯ মাস পর হল খোলার ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি প্রশাসন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হল প্রশাসন। একটি ছাত্র হল আব্দুল মালেক উকিল হল ও দুটি ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বিবি খাদিজা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের তোলা হবে কমপক্ষে এক ডোজ কভিড টিকা দেয়া সাপেক্ষে। এছাড়া বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে হলে উঠতে পারবেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

সরজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর হলগুলোয় শিক্ষার্থী তোলার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ দুপুর থেকে চালু হবে হলের ক্যানটিনগুলো। ক্যানটিন পরিচালনাকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে উঠে আজ দুপুর থেকে যেন শিক্ষার্থীরা ক্যানটিনে খাবার খেতে পারেন তারা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দীর্ঘদিন পর হলে উঠে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সব হলে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রভোস্টরা। এ বিষয়ে  আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. মেহেদী হাসান রুবেল জানান, দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আমাদের শূন্যস্থান পূরণ হবে এবং হল পরিপূর্ণ হবে এতে আমরা খুবই আনন্দিত। শীতকাল সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে। আনন্দের সঙ্গে হলে থাকতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি কভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমাদের সচেতন শিক্ষার্থীরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।

বঙ্গমাতা হলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে প্রভোস্ট মো শাহীন কাদির ভূঁইয়া বলেন, হল কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম মেনে শিক্ষার্থীরা এসে হলে উঠতে পারবে। তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ছাত্রীরা এসে ঠিকভাবে হলে থাকতে পারবে।