শেয়ার বিজ ডেস্ক: নরওয়ের রাজধানী অসলোয় গতকাল শনিবার শান্তিতে নোবেলবিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস। গত ৭ অক্টোবর তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। খবর: আল জাজিরা।
নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে এ শান্তি পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। বিজয়ীরা পেয়েছেন ৯ লাখ মার্কিন ডলার।
পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি বিজয়ীদের পরিচয় ও তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেছিল। তারা জানিয়েছিল, বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি আশির দশকের মাঝামাঝি বেলারুশে গণতন্ত্র আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। নিজ দেশে গণতন্ত্রের প্রচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। এ কারণে ২০২০ সাল থেকে দেশটির কারাগারে বিনা বিচারে আটক রয়েছেন তিনি।
নোবেলজয়ী রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীরা এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা কমিউনিস্ট শাসনের নিপীড়নের শিকারদের কখনও ভুলে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। এছাড়া চেচেন যুদ্ধের সময় রুশপন্থি বাহিনী জনগণের ওপর যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল, সেসবের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করেছে মেমোরিয়াল।
অপরদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস দেশটিতে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র এগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের জনগণের ওপর রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ শনাক্ত ও নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত সংস্থাটি।
বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি জেলে থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার স্ত্রী। বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা প্রসঙ্গে নোবেল কমিটি বলেছে, বিজয়ীরা যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়গুলো সামনে তুলে এনেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সুশীল সমাজের গুরুত্ব তারা প্রদর্শন করেছেন।