Print Date & Time : 9 September 2025 Tuesday 8:52 pm

দেশেই কভিড পরীক্ষার কিট তৈরি, বাঁচবে খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাশ্রয়ী দামে কভিড-১৯ শনাক্তের উন্নতমানের আরটিপিসিআর কিট তৈরির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ। আড়াইশ টাকায় এই কিট দিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ফল পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলেন বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, বাণিজ্যিক কিটের চেয়ে ‘অনেকাংশে উন্নত’ মানের এই কিটের দামও কম পড়বে। এই কিট তৈরিতে বিসিএসআইআরকে সহযোগিতা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিটের ‘পারফরম্যান্স’ মূল্যায়ন নিয়ে গবেষণার অনুমোদন দিয়েছে। আর বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) এ কিট ব্যবহারের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আফতাব আলী বলেন, এই কিটের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হতে সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। বর্তমানে সরকারিভাবে যে কিট ব্যবহƒত হচ্ছে, তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল; প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যয় হয় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু বিসিএসআইআরের কিট দিয়ে পরীক্ষা করতে খরচ হবে আড়াইশ টাকা।

বাংলাদেশে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিটের পুরোটা আমদানি করতে হয়েছে, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’ নতুন তৈরি কিটের কার্যকারিতা নিয়ে আফতাব আলী বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে বাজারে প্রচলিত আরটিপিসিআর পরীক্ষায় প্রতি মিলিলিটারে অন্তত এক হাজার লোড কপি ভাইরাস প্রয়োজন। বিসিএসআইআরের উদ্ভাবিত কিটে ১০০ লোড কপি ভাইরাস হলেই হবে। অর্থাৎ বিসিএসআইআরের কভিড কিট দিয়ে একেবারে ন্যূনতম সংখ্যক ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাবে। ফলে ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যাবে।’