শেয়ার বিজ ডেস্ক: দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ২০ তলাবিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন’ এর নকশা এবং ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত প্ল্যানের ভূমি ব্যবহার’ পরিকল্পনার উপস্থাপনা দেখতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। এ দেশটাকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই এবং আমরা স্বাধীন দেশ এবং স্বাধীন জাতি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে চাই। জাতির জনকের যে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ হোক। বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা সেভাবেই বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। আজকে তিনি আমাদের মাঝে নেই। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটুকু বলব, তার আকাক্সক্ষাটা পূরণ করা। বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, উন্নত, শিক্ষিত, আধুনিক বিজ্ঞান জ্ঞানসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে বাঙালি জাতিকে আমরা গড়ে তুলব এবং বাংলাদেশটাকে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা করবÑএটাই আমাদের লক্ষ্য।’
সভায় পাবলিক লাইব্রেরি নতুন করে তৈরি করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাবলিক লাইব্রেরি এটাও অনেক পুরোনো। অডিটোরিয়াম থেকে শুরু করে সবকিছুই জরাজীর্ণ অবস্থা … খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। আর সেখানে আমি মনে করি আমাদের মিউজিয়াম যেটা আছে ন্যাশনাল মিউজিয়াম মিউজিয়ামটা ঠিকই থাকবে যেভাবে আছে ওটা থাকুক কিন্তু পুকুরটাকে সুন্দর করে রাখা। পুকুরটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের যে পাবলিক লাইব্রেরি তার একটা ল্যান্ডস্কেপ করে সেখানেও খুব সুন্দরভাবে একটা মর্ডার্ন পাবলিক লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং আমাদের সাইবার ক্যাফে সবকিছু মিলিয়ে ওটাকে আরও সুন্দরভাবে, নতুনভাবে তৈরি করা।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জরাজীর্ণ স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কাজগুলো কিন্তু আমার মনে আমরা যদি খুব দ্রুত একটু শুরু করি তাহলে … এখন তো করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনেক কাজ স্থবির কিন্তু আমরা এ কাজগুলো কিন্তু শুরু করতে পারি এবং শেষ করতেও পারি খুব তাড়াতাড়ি। আর এর জন্য যা অর্থ সংকুলান সরকার থেকেই আমরা করে দেব। আমি দিতেও চাই। কিন্তু কাজগুলো আমি চাচ্ছি একটু তাড়াতাড়ি এগুক যাতে সুন্দরভাবে আমরা … এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, সবই বন্ধ। তার মানে এটাই হচ্ছে সব থেকে ভালো সময় কাজ করবার, নিরিবিলি কাজগুলো করা যেতে পারে।’ নির্মাণকাজগুলো তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো তো প্ল্যান করাই আছে। মেডিকেল কলেজটা করা আছে কিন্তু আবার টিএসসিটা করা হয়নি। টিএসসি যেহেতু ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আমাদের ইউনিভার্সিটি আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। আমি নিজে ওখানে ছাত্রী ছিলাম। কাজেই ইউনিভার্সিটির প্রতি আমাদের সবসময় একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। এ জায়গাটা আমি চাচ্ছি একটু সুন্দর করে করা।’