Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 7:05 am

দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনও ২জি ব্যবহার করছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমরা ৫জি নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধেই এ বিষয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এটা নিয়ে কাজ চলছে। তবে স্বীকার করতে হবে এখনও অনেকে আছে তারা ২জি-তে আছে। আর বাস্তবতা হলোÑএখনও বেশিসংখ্যক মানুষ ২জি বেশি মানুষ ব্যবহার করে। অনেকে আছেন যারা লিখতে পারেন না, পড়তে পারেন না তারা এর বেশি চান না, তাদের প্রয়োজনও নেই। এখনও ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ ২জিতেই আছে।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল ২০তম চাইল পার্লামেন্ট অধিবেশনে অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যাদের মাসিক গড় আয় ৫ হাজার টাকা, আবার অনেকে আছেন যাদের গড় আয় ৫ কোটি টাকা। তেমনি অনেকে ২জি যেমন ব্যবহার করছেন, অনেকে আবার ৫জিও ব্যবহার করছেন। তবে আমরা কাউকে ফেলে যাব না, সবাইকে

সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মূলমন্ত্র সবাইকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে হবে। তাই জুনায়েদ আহমেদ পলককে (আইসিটি প্রতিমন্ত্রী) বলব, যারা ২জিতে আছে তাদেরও ভালো সার্ভিস দিতে হবে।’

ফেসবুক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার একটি ভয়ংকর দিক। আপনাদের বাছাই করে এটা ব্যবহার করতে হবে। অনেক ভয়ংকর দিক আছে। হুশিয়ার করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রও কাজ করছে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ আনতে। সারা বিশ্বই এটা নিয়ে কাজ করছে। সাইবার অ্যাক্ট করেছে সরকার। এটা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছে। তবে এটারও ভালো মন্দ দিক আছে।’

বাল্যবিয়ে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই শিশুবিয়ে হয়েছে। তবে অনেক দেশ এটাকে কমিয়ে এনেছে। এখনও আমাদের শহর ও গ্রামে চুপিসারে শিশুবিয়ে হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। অনেক প্রতিবাদ দেখি শিশুবিয়ে হলে শিশু নিজেই রুখে দাঁড়ায়, আমি তাদের স্যালটু জানায়। মাঠ প্রশাসনও শিশুবিয়ে রুখতে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘নানা কারণে শিশুবিয়ে হয়। বাবা হয়তো শিশুকে খেতে দিতে পারে না। বাবার আয় কম। বিয়ে দিয়ে দায় মুক্তি পেতে চান। আমাদের যদি আয় বাড়ে তবে শিশুবিয়ে কমবে। তবে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভাষার ব্যবহার বাংলায় হতে হবে। কেন ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য হতে হবে?  জাপান, রাশিয়া, চীন কয়টা বাংলা বলে। ইংরেজি ভাষায় কথা না বলেও পাহাড় সমুদ্রসহ পৃথিবীর সব কিছু জয় করছে চীন-রাশিয়া  কেউ আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে ইংরেজি ছাড়া চলে না। বাংলা ভাষা ও জয় বাংলা আমাদের সংস্কৃতি। জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু বলতে হবে।’

১৫টি জেলার ১৬টি সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুরা গতকালকের অধিবেশনে অংশ নেয়। এদের মধ্যে ছিল খুলনা জেলার ৬নং কয়রার মুন্ডা আদিবাসী, আইলা ক্ষতিগ্রস্ত শিশু দল মুন্সীগঞ্জ, সাতক্ষীরা, দলিত শিশু-কেশবপুর, যশোর, বড়াইক আদিবাসী শিশু, সমতলের আদিবাসী শিশু খানসামা, দিনাজপুর জেলে পরিবারের শিশু, হাওড় অঞ্চলের শিশু, শ্রমজীবী শিশু দল, পতিতালয়ে বসবাসকারী শিশু, চর অঞ্চলে শিশু, ত্রিপুরা শিশু,  চাকমা শিশুদল, সমুদ্রসৈকতে কর্মরত শিশু, চা-বাগানের শিশুদল, দুর্যোগকবলিত শিশুদল।