Print Date & Time : 13 September 2025 Saturday 5:43 am

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন: আরেফিন সিদ্দিক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, আমাদের মূল সমস্যা আমরা সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষা হওয়া উচিত মানবিক ও কল্যাণমুখী। বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষা হবে নৈতিক ও কর্মমুখী।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে গতকাল শুক্রবার জনলোকের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭১ সালে মার্কিন সরকার বাংলাদেশ ও মানবিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে মার্কিন জনগণ ও গণমাধ্যমের মাঝে মানবিকতা বোধ ছিল। তারা বাংলাদেশের পক্ষে চাপ প্রয়োগ ও মানবতার কথা বলে গেছে। অর্থাৎ মানবিকতা সবসময় পৃথিবীতে আছে, তবে ক্ষমতায় যারা থাকে তারা অমানবিক হয়ে যায়।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের মূল কাজ জনকল্যাণ। জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়ে গেছেন, যেখানে ২২টি মানবিক অধিকার সংরক্ষিত আছে। আজ আমরা অবরোধ-হরতাল দেখছি। এটির অধিকার রাজনৈতিক দলের রয়েছে। কিন্তু হরতাল-অবরোধের নামে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

অপরদিকে জনপ্রতিনিধিদের সাম্প্রতিক সম্পদের হিসাবে আমরা দেখছি, কারও কারও সম্পদ প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। এ বিষয়ে জনগণের কাছে স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। এটি নিশ্চিতে শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছে বলেও জানান সাবেক ঢাবি উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য বলেন, দেশ এগিয়ে গেছে, তবে ৩০ লাখ মানুষ যা চেয়েছিল তা পায়নি। ১৯৭২-পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষকে খাবার জোগান দেয়া কঠিন হতো। এখন ১৭ কোটি মানুষের খাবার জোগান দিয়ে এদেশের কৃষক তার কথা রেখেছে। রাজনৈতিক নেতারা তা রক্ষা করতে পারেনি। তবে এখন সার ও কৃষিপণ্যের জন্য তাদের রক্ত দিতে হচ্ছে না, এটার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা যদি তাদের কথা রাখত তবে আজ সবার মুখে হাসি থাকত। তবে ’৭৫-এর পরে বাংলাদেশ যে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করেছিল, এখন তা আবার সঠিক পথে এগুচ্ছে। যদিও দেরি হয়ে গেছে কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে।