দেশে একমাত্র গণস্বাস্থ্যই সুলভে গরিবের স্বাস্থ্যসেবা দেয়: ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা সুলভে গরিবের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। আমরা চাই আপনারা চিকিৎসা পান, আপনার সন্তানরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করুক। ২০০ টাকার বিনিময়ে গণস্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যবিমা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনারা সবাই গণস্বাস্থ্য বিমা করবেন। রিকশা, ভ্যানচালক, ফুটপাতের ছোট দোকানদার, হকাররা মাসে ২০০ টাকা অর্থাৎ দিনে ৭ টাকার বিনিময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই গণস্বাস্থ্য বিমা করতে পারবে। ২৪ ঘণ্টা গণস্বাস্থ্য স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসে গরিব অসহায় এবং রিকশা, ভ্যানচালক পরিবারের সদস্যদের সপ্তাহে ১ দিন বিনা পয়সায় গণস্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। সরকার চাইলে সারাদেশে গণস্বাস্থ্যের মতো জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃতি করতে পারে। এতে সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি হবে এবং জনগণ উপকৃত হবে।

রাজধানীর মীর হাজীরবাগ আবু হাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে স্বল্প আয়ের মানুষ, রিকশা ও ভ্যানচালকদের মধ্যে ডেঙ্গু মশার আক্রমণ থেকে পরিত্রাণের জন্য গণস্বাস্থ্যে সহায়তা কেন্দ্র মশারি ও ওষুধ বিতরণ করে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সমাজসেবক ও সংগঠক মোজাম্মেল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিটিক্যালের জিএম মো. মামুন, বিভাগীয় প্রধান মো. রোকনুজ্জামান, এজিএম মো. আতিকুর রহমান, স্থানীয় সমাজসেবক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম লিটন, জাহিদ এ রেজা, মহিলা নেত্রী আফরোজা হক মুক্তা প্রমুখ।

মশারি নিতরণ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু মশার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে আপনারা দিনের বেলায়ও মশারি টানাবেন। নিজেদের বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

নি¤œ আয়ের মানুষের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আপনারা কেউ ধূমপান করবেন না। করোনা থেকে বাঁচার জন্য সবাই মাস্ক পরবেন। মাস্ক আপনাকে বাঁচাবে, অন্যকে বাঁচাবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আপনারা ভ্যান-রিকশার মালিক হোন। রিকশা যে চালাবেন, ভ্যান যে চালাবেন তিনিই ভ্যান-রিকশার মালিক হবেন। অন্য কেউ এর মালিক হতে পারবেন না।’