দেশে এমন অবস্থা সৃষ্টি করব, সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে :মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নিতে কেরানীগঞ্জবাসীকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, এই কারণে আজকে এখানে সমাবেশ। আপনাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি। আমরা ঢাকা শহরসহ সারাদেশে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি করব, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেই দিনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ‘সরকার পতনের এক দফা দাবিতে’ বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি দরকার বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা, মায়েরা, বোনেরা, যারা বাড়ি থেকে শুনছেনÑআপনারা কেউ ঘরে বসে থাকবেন না। যদি ঘরে বসে থাকেন, তাহলে কিছুই হবে না। যদি আপনারা অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে এই শেখ হাসিনার সরকারকে কখনোই ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। তাদের হাতে পুলিশ আছে, তাদের হাতে বিডিআর আছে, তাদের হাতে র‌্যাব আছে, তাদের হাতে কোর্ট আছে। সুতরাং আমরা সবকিছু ছাপিয়ে, সবকিছুকে প্রতিরোধ করে দেশকে মুক্তির আলো দেখাব একদিন।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের পদত্যাগ কিংবা অপসারণ সময়ের ব্যাপার মাত্রÑযাই যাই করছে। এখন ঢাকার আদালতে চোর-ডাকাতের খবর নেই, চোর-ডাকাতের বিচার নেই; বিচার হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের’।

আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ভয় কেনÑসেই প্রশ্ন তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা আরেকটা কথা কী বলে জানেন, এক রাতে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। আমরা তো লাঠি, দা, কাঁচি নিয়ে বসে নেই। আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই আপনাদের হাত থেকে।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এখন চাল ৬০-৮০ টাকা কেজি। আওয়ামী লীগ এরপর ক্ষমতায় গেলে চাল ১০০ টাকা কেজি খেতে হবে।

সংগ্রাম ছাড়া বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে আবদুস সালাম বলেন, জোর করে দেশে আর নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।’ তিনি বলেন, এখনও সময় আছে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জোর করে আসতে চান, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চাইলে এবার জনগণ আপনাদের টেনে নামাবে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান প্রমুখ।