নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যেসব পদে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন, সেসব পদের বিপরীতে দেশে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কত, তাও জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।
রুলে অননুমোদিত কর্মীসহ অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
অর্থ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছর ১৯ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন ঢাকার বাসিন্দা মোয়াহতাসিম ইসলাম, নওশিন নাওয়ার নূরজাহান, মুমতাহিনা আলম ও মাইশা মুনাওয়ারা। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান পাস করে এখন শিক্ষিত বেকার।
ওই নোটিশে তারা দেশে বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন, অননুমোদিত বিদেশি কর্মী ও অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে বিদেশি আইন-১৯৪৬, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫২, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন-১৯৪৭ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ অনুসারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৩ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা সাত লাখ ৮০ হাজার। চলতি বছর শুরুর দিকে এ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস। নোটিশের সাড়া না পেয়ে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।