কভিড-১৯

দৈনিক সংক্রমণের তথ্য না দেয়ার ঘোষণা চীনের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯-এর দৈনিক সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ না করার ঘোষণা দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি)। তিন বছর ধরে দৈনিক করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করছে কমিশন। তবে কমিশন বলেছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার থেকে তারা আর এ তথ্য প্রকাশ করবে না। খবর: রয়টার্স।

করোনার ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীর চাপে বেহাল হাসপাতালগুলো। মরদেহ সৎকারে বেগ পেতে হচ্ছে কবরস্থানের কর্মীদের।

এক বিবৃতিতে এনএইচসি বলেছে, গবেষণার জন্য করোনা-সংক্রান্ত তথ্য চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সরবরাহ করবে। তবে সিডিসি কতদিন পরপর কভিডুসংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদ করবে, তা বিবৃতিতে জানানো হয়নি। চলতি বছরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়েছে। এজন্য দেশটিতে করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সংকট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরও এনএইচসি করোনায়  মৃত্যুর কোনো খবর দেয়নি। চীনে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা তুলনামূলক কম হয়। চীনের বিরুদ্ধে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া অথবা ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু না হলে চীনে সেটিকে করোনায় মৃত্যু বলে ধরা হয় না। যদিও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।এনএইচি চলতি মাসে উপসর্গবিহীন রোগীদের করোনা রোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে করোনায় প্রকৃত রোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ব্রিটিশভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির সাপ্তাহিক হিসাব বলছে, চীনে গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার মৃত্যু হচ্ছে। করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। গত মাসের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হতে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে করোনায় আক্রান্ত কতজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, সে তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন মডেল ও প্রতিবেদন বলছে, চীনের গ্রামাঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০ লাখ মানুষ মারা গেছে। সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, চীনে করোনার এত সংক্রমণ আগে কখনও দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।