দোরগোড়ায় ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র

জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে নির্মাণ করা হয়েছে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র। লক্ষ্মীপুরে এসব তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো থেকে অল্প সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে উদ্যোক্তারা জানালেন, ইন্টারনেট সমস্যায় সময়মতো কাক্সিক্ষত সেবা দিতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

নাগরিক সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যু সনদ, করোনা ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে তথ্যসেবা কেন্দ্রে প্রতিদিনই বাড়ছে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা। ইউপি চেয়ারম্যানরা বলছেন, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় তথ্যসেবার সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিয়মিত সেবা পাওয়ায় হয়রানিও কমছে।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নে চালু রয়েছে এসব তথ্যসেবা কেন্দ্র, যার উদ্দেশ্য ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। এসব তথ্যকেন্দ্র থেকে জš§, মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়ন ও প্রশংসাপত্র, ই-মেইল, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এখানকার জনগণ।

সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম। তিনি জানান, তিনি ভোটারের অনলাইন কপি বের করতে আগে ১৭ কিলোমিটার দূরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েছেন। এখন তার ছেলের ভোটার অনলাইন কপি স্থানীয় তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে বের করেছেন। এতে তার সময় ও অর্থ দুটোই কমেছে।

সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রেজাউল করিম পলাশ বলছেন, সরকারি নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হচ্ছে। সব সময় ইন্টারনেটের গতি পাওয়া গেলে আরও ভালো সেবা দেয়া যেত বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী জানালেন, তথ্যসেবার সুফল পাচ্ছে জনগণ। তথ্যসেবার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বচ্ছতা ও জবাদিহির সুযোগ রয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ কেন্দ্রগুলোর সেবার মান আরও বৃদ্ধি ও ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে বলেও জানালেন তিনি।