দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। আর আগের বছরের একই সমেয় কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ২৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৩৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ২ টাকা ৭৬ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ৬৭ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১৫ টাকা ৮৪ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৬২ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৫২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ২ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ১২ লাখ ৪ হাজার ৬৫৫টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ১৩৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৩১ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার।