নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান ১৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৭৪ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে লোকসান বেড়েছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২৩ টাকা ০৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৮৭ পয়সা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান), আর ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২৮ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৭৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩৪ টাকা ২৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ) ও পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ৪৫ টাকা ৩৫ পয়সা (লোকসান)। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪৩ টাকা ৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ) ও পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ৩৬ টাকা ৫৮ পয়সা (লোকসান)। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ টাকা ৬ পয়সা (ঘাটতি)।
‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯১৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩ টাকা ৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ টাকা ৩ পয়সা বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ২২৫ টাকা ২০ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছিল ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৭ পয়সা ছিল।