নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জ্বালানি খাতের কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ টাকা ৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৬ টাকা ৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ৮২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ১০ টাকা ৩৪ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪৪ টাকা ৯৪ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৫৮ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬০ টাকা ২৭ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ১১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩৪ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৬ টাকা ১৭ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ৮৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯৮ টাকা ৯৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯৯ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭৪ টাকা ১৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৫৫ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৮ হাজার ২৭৩টি শেয়ার মোট ২৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।