দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে সামিট পাওয়ারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৩২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস কমেছে ৬৪ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৮৮ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৪৪ পয়সা।

এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ১৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল বেলা বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ০২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সা। সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৯১ পয়সা।

এর আগে সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা।

সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১০৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১২ শেয়ার মোট ৬২১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।