দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে পেনিনসুলার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি দি পেনিনসুলা চিটাগং পিএলসির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময় ছিল ১১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধে বা প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২৮ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসেবে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ৭ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৮ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৭ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য আড়াই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৪৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।