শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন। মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শ্রমবাজারের সমস্যা সমাধানে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। খবর: এনএইচকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের বাইরে স্থানীয় সময় গত বুধবার প্রায় আধঘণ্টা এক বৈঠকে মিলিত হন। এতে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে সম্মত হন।
দুটি দেশ যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং তাদের একত্রে কাজ করা দরকার, সে বিষয়ে তারা সম্মত হন। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতা আরও বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দুই দেশের কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়েও দুই নেতা একমত পোষণ করেছেন। অপহরণজনিত সমস্যা সমাধানে জিরো টলারেন্সের প্রতি একমত হন দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা।
শিগগিরই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় বসবেন। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। পাশাপাশি তারা নিজেরাও যেন পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নেন তা নিশ্চিত করেছেন। ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই নেতা গত জুনে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন। এরপর এই প্রথম কিশিদা ও ইয়োলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলো।
চলতি বছর মে মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান ইয়োল। এর পর থেকে জাপানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত। জাপানও কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছে। তাই দুই দেশ ঝুলে থাকা কয়েকটি ইস্যুর পাশাপাশি কূটনৈতিক উপায়ে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।