নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সÑআত্মা। একই সঙ্গে, তামাক কোম্পানির অপপ্রচারে নীতিপ্রণেতাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর বিএমএ ভবনে আত্মা’র সভাটি আয়োজন করা হয়।
আত্মা’র সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি-তে স্বাক্ষরকারী হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও পদক্ষেপগুলো তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক ও অন্যান্য স্বার্থ থেকে সুরক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ এ তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত থাকতে সুপারিশ করা হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এ ধরনের সব পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা।
আত্মা’র সভায় ৪৩ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক এবং চ্যানেল এস-এর ডিরেক্টর (নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স) শংকর মৈত্র, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)- বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন এবং সদস্যসচিব এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ।