আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিলেন ১৪ বছরের নাবালিকা এক কিশোরীকে। আর সেই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি নির্যাতিতার বাবা। নিজের মেয়ের এমন অসম্মানের প্রতিশোধ নিয়েছেন নিজের হাতে।
ধর্ষককে ডেকে নিয়ে কেটেছেন মুন্ডু, আর তারপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে। চাঞ্চল্যকর এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের খান্দাওয়া জেলায়।
সোমবার (২৮ মার্চ) পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা এবং তার মামা জড়িত ছিলেন।
নিজের মেয়ের এমন অসম্মান মেনে নিতে না পেরেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুন হওয়া মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরেই ওই ব্যক্তির টুকরো মরদেহ নদীতে পাওয়া গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রোববার (২৭ মার্চ) জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে আজনল নদীতে মরদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভাসতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়তেই জানা যায় যে, ওই ব্যক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ, বয়স ৫৫ বছর। তিনি খান্ডোয়ারই শক্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ত্রিলোকচাঁদের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মেয়ের এমন অসম্মানের শাস্তি দিতে ত্রিলোকচাঁদকে বাইকে বসিয়ে অজলন নদীর ধারে নিয়ে যান কিশোরীর বাবা এবং মামা। সেখানে প্রথমে ত্রিলোকচাঁদের মুণ্ডচ্ছেদ করেন ওই দুই ব্যক্তি। তারপর তার দেহ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন। ত্রিলোকচাঁদকে খুন করার জন্য মাছ কাটার বঁটি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে । পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিলোকচাঁদ ওই ব্যক্তিদের আত্মীয় ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা এবং মামাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।