Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 6:00 pm

ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল ও সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি, জবি : সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল ও পুরান ঢাকার তাঁতি বাজার মোড় অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) রাত আটটায় তাঁতি বাজার মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে  শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন। মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিন করে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতি বাজার মোড়ে অবস্থান নেয়। মিছিলে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো বেশ লক্ষণীয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আছিয়া ধর্ষণের বিচার সহ সারাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রতিটি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো তাঁতি বাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর ফলে আশেপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। এরপর পুনরায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া’, ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”, ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না”, ‘আমার মায়ের কান্না, আর না আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘জাস্টিস জাসটিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আজকের এই মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। আমরা এ মশাল মিছিল থেকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই, ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে নতুবা গদি ছেড়ে দিতে হবে। এ সরকারকে আমরা ক্ষমতায় নিয়ে এসেছি প্রয়োজনে পুনরায় আবার ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারব।

শিক্ষার্থীর আরও বলেন, এভাবে এক আছিয়া নয় শুধু দেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত অনেক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও বলৎকারের ঘটনা ঘটছে। আমরা প্রতিটি অপকর্মের বিচার দেখতে চাই। প্রয়োজন হলে দ্রুত বিচারের জন্য আলাদা কমিশন গঠন করতে হবে। দেশের প্রত্যেক নারীরা আজ-কাল ভয়ে-আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন কি হয়ে যায়। আমরা তো সংস্কার চেয়েছি কিন্তু নতুন বাংলাদেশ এতোটা অনিরাপদ হবে এটা ভাবতে পারি নি। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সুমাইয়া মিলি বলেন, এসব ধর্ষকদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে তাহলে অন্যরা ভয় পাবে। আমরা নারীরা কেন রাস্তায় ভয়ে-আতঙ্কে চলাচল করব? আছিয়ার মতো যেন আর কোনো ঘটনার পুনরায়বৃত্তি না হয় এর আগে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মাকছুদুল হক বলেন, ধর্ষণের বিচার অতীতে ঠিকভাবে হয়নি বলেই এখনো ধর্ষকরা সাহস পায় এসব কাজ করতে। সরকার যদি সঠিক বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে তবে এসব অপকর্ম বন্ধ হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসব বিচার ঠিক মতো করতো না। কিন্তু এখন এই সরকার জনগণের। তাকে জনগণের কথা ভাবতে হবে। দ্রুত বিচার কাজ শেষ করতেই হবে তাদের।