নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতংশ নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিআই) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ছয় মাসে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ১৮ মাসে মোট সাড়ে ৩৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ছয় টাকা ৩২ পয়সা ও ৬৩ টাকা ৬৭ পয়সা।

গতকাল কোম্পানিটির ২১ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৮৬ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে দুই দশমিক ১৬ শতাংশ বা দুই টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩২ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৩৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৪ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর থেকে দুই শতাংশ কম। ওই বছর কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৩ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২২১ কোটি ছয় লাখ টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ছয় পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি ছিল ৭৫ টাকা ১৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ছিল ৬৪ টাকা ৪২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৪৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০টি শেয়ার রয়েছে।