শেয়ার বিজ ডেস্ক: জলবায়ু সংকট নিরসনে কপ২৬ সম্মেলনে নতুন খসড়া চুক্তি হয়েছে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সামাল দিতে বিশ্বনেতাদের জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর: বিবিসি।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের গতকাল শুক্রবার ছিল শেষ দিন। এদিনই প্রকাশিত হয় নতুন খসড়া চুক্তিটি। আগের তুলনায় দেশগুলো কীভাবে দ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে আনবে, তার পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে সেখানে।
তবে খসড়া চুক্তিতে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো নিয়ে সুর কিছুটা নরম করা হয়েছে। পাশাপাশি জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি সহযোগিতা করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ চুক্তি চূড়ান্ত হতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সব দেশকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। ঐকমত্যে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রভাব সামলাতে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার যে লক্ষ্য, তা এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’ চলে গেছে।
গত বুধবার জলবায়ু সম্মেলনে প্রথম খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়। ওই খসড়া নিয়ে সম্মেলনে গতকালও আলোচনা হয়। এর মধ্যেই নতুন এ খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হলো। একে প্রথম খসড়া চুক্তির দ্বিতীয় সংস্করণ বলা হচ্ছে।
প্রাক-শিল্পায়নের সময় থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্যারিস চুক্তিতে সম্মত হয় বিশ্বের দেশগুলো। চুক্তি অনুযায়ী, তাপমাত্রা সীমাবদ্ধ রাখার ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বনের নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে নির্গমন আনতে হবে শূন্য শতাংশে।