Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 3:32 am

নতুন মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে সূচক ও মূলধন

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজার গতকাল ছিল রেকর্ডময়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ডিএসইএক্স সূচক ও বাজার মূলধন নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। আর ৫২ পয়েন্ট বাড়লেই ডিএসইএক্স সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে। আর ১৩৫ কোটি টাকা বাড়লে বাজার মূলধনও চার লাখ কোটি অতিক্রম করে নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে। পুঁজিবাজার এখন এই দুই রেকর্ডের অপেক্ষায়। লেনদেনে গত দুদিনের গতি অব্যাহত থাকলে ঈদের আগেই বাজার এই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাবে আশা করা যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল ছিল রেকর্ডের ছড়াছড়ি। সিএসইর বাজার মূলধন, সিএএসপিআই সূচক ও সিএসই৫০ সূচক রেকর্ড অবস্থানে উঠে যায়।

গতকাল ঢাকার বাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। বাজার গতিশীল করতে মূল ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। এ খাতে লেনদেন হয় ২৫৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশ। এ খাতের ৩০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টির দর বেড়েছে, একটি অপরিবর্তিত এবং বাকিগুলোর কমেছে। রূপালী ব্যাংকের দর দুই দশমিক ৪১ শতাংশ কমে পতনের শীর্ষ তালিকায় চলে আসে। গতকাল সিরামিক খাতের শতভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের তিন কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় উঠে লেনদেন হয়। কোম্পানি তিনটি হচ্ছে ফু-ওয়াং সিরামিক, মুন্নু সিরামিক ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৮ শতাংশ বা ১৮০ কোটি টাকা। এ খাতে ছিল মিশ্রবস্থা। ১৬ কোম্পানির দর বেড়েছে, ১৬টি কমেছে, দুটি অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ফের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে বস্ত্র খাতে। এ খাতে লেনদেন হয় প্রায় ১৩১ কোটি টাকা। এ খাতের ৩৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে, ছয়টির কমেছে। সাফকো স্পিনিং, এইচআর টেক্সটাইল, আনলিমা ইয়ার্ন, অ্যাপেক্স স্পিনিং, প্রাইম টেক্স ও মিথুন নিটির টপটেন গেইনার তালিকায় নেতৃত্ব দেয়। পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে কোম্পানিগুলোর। লেনদেনে নেতৃত্ব দেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিবিএস সাড়ে ৫৪ কোটি টাকা, বিবিএস কেব্ল্স ৪১ কোটি টাকা, ফরচুন ৪০ কোটি টাকা, আল-আরাফাহ ব্যাংক সাড়ে ২৫ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২৫ কোটি, এমজেএলবিডি ২৪ কোটি টাকা, লংকাবাংলা সাড়ে ২২ কোটি এবং প্রাইম ব্যাংকের ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল বেশ কয়টি কোম্পানি হলটেড হয়। এর মধ্যে জেড ক্যাটাগরির ইমাম বাটন, এসপি সিরামিক, জিল বাংলা, শ্যামপুর সুগার, দুলামিয়া কটন শীর্ষ পর্যায়ে ছিল। যদি আগামীতে কোনো ভালো সংবাদের ভিত্তিতে দুর্বল কোম্পানিগুলোর দরের উল্লম্ফন ঘটে, তাহলে কিছু বলার নেই। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এসব শেয়ারের দর এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই এসব শেয়ারে গেম্বলিং হচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এসব শেয়ারে বিনিয়োগের আগে লোকসানের ঝুঁকি বিবেচনায় রাখতে হবে।