প্রতিনিধি, জাবি: ‘মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বয়ে যাক, প্রকৃতি ও প্রতয়ে এসো বৈশাখ’-এই প্রতিপাদ্যে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ কে স্বাগত জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া আটটায় উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বে নিযুক্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম বলেন, বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালি জাতিসত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ উৎসব বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এই ঐতিহ্য রক্ষা এবং পহেলা বৈশাখের উৎসত্রে মাত্রা বহুগুণে বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার ভাতা প্রদানের মাধ্যমে বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে। এজন্য তিনি সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপাচার্য বাংলা নববর্ষে সবার জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সকাল দশটায় উপাচার্যের নেতৃত্বে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় করোনা পরিস্থিতির যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এই কামনায় বাঙালি লোকজ বিশ্বাস অনুযায়ী অমঙ্গল দূরীকরণের প্রতীক হিসেবে ময়ূর ও সাপের প্রতিকৃতি ও উর্বরতার প্রতীক হিসেবে নান্দনিক একটি মাছের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অফিসার, কর্মচারি, মহিলা ক্লাবের সদস্যবৃদ ও জাবি স্কুল ও কলেজের ছাত্র-শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। বর্ষবরণ উপলক্ষে সকাল পৌনে দশটায় পুরাতন কলা ভবনের সম্মুখে মৃৎমঞ্চে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
বেলা এগারোটায় মহুয়া তলায় বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ পৃথক পৃথকভাবে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।