নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাসে দেশের ভেতর ও বাইরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনে বড় উল্লম্ফন হলেও পরের মাসেই কমে গেছে। সর্বশেষ নভেম্বর মাসে ক্রেডিট কার্ডে সার্বিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে দেশের ভেতরের চেয়ে দেশের বাইরে লেনদেন কমার হার ছিল বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা টাকায় খরচ করা যায়। আবার বিদেশি মুদ্রায় অনলাইনে পণ্য কিনে বাইরে থেকে দেশে আনা যায়। বিদেশ ভ্রমণের সময়ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ করা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবরে প্রায় ৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা খরচ করেন ক্রেডিট কার্ডধারীরা। তবে নভেম্বর মাসে সেটি কমে ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় লেনদেন কমেছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা। অথচ সেপ্টেম্বরের তুলনায় গত অক্টোবরে ক্রেডিট কার্ডে সার্বিক লেনদেন বেড়েছিল প্রায় ৪৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশিরা দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেন ২ হাজার ৫৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের মাস যা ছিল ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ২ হাজার ২৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে দেশের বাইরে গত অক্টোবরে ক্রেডিট কার্ডে মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার, যা আগের মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম। আগের মাস অক্টোবর মাসে বাংলাদেশিরা বিদেশে খরচ করেছিলেন ৫৩৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা তার আগের ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। আর সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ১০১ কোটি বা ২৩ শতাংশ বেশি ছিল।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, নভেম্বর ভারত ভ্রমণে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮৭ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। আগের মাস অক্টোবের যা ছিল ৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা। ক্রেডিট কার্ডে অর্থ খরচের দিক থেকে ভারতের পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচ্য মাসে দেশটিতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন প্রায় ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের মাসে ছিল ৭৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যা আগের মাসে ছিল ৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আলোচ্য মাসে বিদেশের সুপারশপে বাংলাদেশিরা ৬৭ কোটি ১০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন, যা আগের মাসে ছিল ৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। অন্যদিকে বিদেশিরা গত নভেম্বরে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেন ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার সমপরিমাণ মুদ্রা, যা আগের মাসে ছিল ১৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।