নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সূচক নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন আবার কমে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩৪টির দর বেড়েছে এবং ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট ও ট্যানারি খাতের শেয়ার। খাত দুটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বিবিধ, সিরামিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় পাট খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।
গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারে ৩২৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৬ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি ৮৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এ দিন দাম বেড়েছে মাত্র ৭২টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৮৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৮টির।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪২ পয়েন্টে।
আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৭৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭টির দাম।
দিনশেষে সিএসইতে ৫ কোটি ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৩০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ২৬১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।