ক্রীড়া প্রতিবেদক: একজন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত তার। যে কারণে বছরের অধিকাংশ সময় মুমিনুল হককে থাকতে হয় জাতীয় দলের বাইরে। তবে সদ্যই শেষ হওয়া দেড় মাসের নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন। যেখানে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে একাদশে সুযোগ পাননি এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তারপরও এই সিরিজ থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন তিনি; যা তার ভবিষ্যৎ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
পাঁজরের চোটে হঠাৎ করেই দ্বিতীয় টেস্ট দল থেকে ছিটকে পড়েন মুমিনুল। যে কারণে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কয়েকদিন আগেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের কথা হয় তার। তিনি বলেছেন, নিউজিল্যান্ড সফরে দল ব্যর্থ হলেও ইতিবাচক কিছু দেখছেন। ‘পুরো সিরিজে হয়তো ফল ভালো হয়নি। তারপরও আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমি যা শিখেছি, আমি তার পুরো জীবনের অর্ধেক বেশি সময় শিখেছি। এগুলো আমার পরবর্তী ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক বেশি কাজে দেবে।’
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করেন মুমিনুল। চোটে না পড়লে হয়তো ইনিংস দুটোকে আরও সামনের দিকে নিতে পারতেন তিনি। তারপরও যতটুকু সাফল্য পেয়েছেন, তাতে খুশি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এজন্য নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে এক মাস অনুশীলনটাও কাজে দিয়েছে তার। ‘টেস্টের আগে পুরো এক মাস সময় পেয়েছি। একটা মাস ওই কন্ডিশনে অনুশীলন করাটা আমার খুব কাজে লেগেছে। এজন্য আমার জন্য খুব সহজ ছিল, ওই জায়গায় ভালো খেলাটা।’
কয়েকদিন পরই প্রথমবার ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। এরপরই রয়েছে শ্রীলঙ্কা সফর। বলা যায় মোটামুটি ব্যস্ততায় কাটবে টাইগারদের আগামী কয়েক মাস। এরই মধ্যে বিদেশ সফরে নতুন লক্ষ্য ঠিক ফেলেছেন মুমিনুল। দেশের বাইরে টেস্ট সেঞ্চুরি চাই তার। দেশের মাটিতে ২৫ ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন। আর দেশের বাইরে ৬ টেস্টে ১৩ ইনিংসে রয়েছে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের পাঁচটি অর্ধশতক। কিন্তু সেটাকে টেনে নিতে পারেননি তিন অঙ্কে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ভারতের পর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট আছে। দেশের বাইরে কোনো টেস্ট সেঞ্চুরি নেই আমার, এটা মাথায় আছে। চেষ্টা করবো এটা কাটিয়ে ওঠার জন্য।’