নিউলাইন ক্লোথিংসের কারখানা পরিদর্শন ডিএসইর

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নিউলাইন ক্লোথিংসের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিনিধি দল। গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে ডিএসই। পরিদর্শনকালে নিউলাইনের কারখানায় উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে প্রতিনিধিদল।

সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর ব্যাংক ঋণ ও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে না পারায় কোম্পানিটির কারখানার উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির উৎপাদন-বিপণনসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। লোকসানি ও বিতর্কে থাকা কোম্পানির অবস্থা জানতে চলমান পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি গাজীপুরের কামরাঙ্গাচালায় অবস্থিত নিউলাইন ক্লোথিংসের কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসই। এরপরই কোম্পানিটি উৎপাদনে নেই বলে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

তথ্যমতে ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পাানিটির বর্তমান ঋণ প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের পর থেকে কোনো আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়নি। যে কারণে কোম্পানিটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংশয় ছিল। বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদেরও এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকেই দাম কমতে শুরু করে। ডিএসইর দেয়া উৎপাদন বন্ধের খবরে গতকাল প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে নিউলাইন ক্লোথিংসের শেয়ার। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার ৮ টাকা ৬০ পয়সায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিউলাইন ক্লোথিংস মূলত স্বল্প মূলধনি ও ঋণদায়গ্রস্ত কোম্পানি। কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ ও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারছিল না। ফলে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর কারখানার উৎপাদনসহ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পুঁজিবাজারে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে বেশি কারসাজি করে থাকে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং না থাকায় সুযোগ পেলেই আইনবহির্ভুত কাজ করে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।

উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে নিউলাইন ক্লোথিংস বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয় না। ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৫০টি; যেখানে উদ্যোক্তা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার রয়েছে যথাক্রমে ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ৫১ দশমিক ০৬ শতাংশ।