নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে ভূমিকার কারণে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর: রয়টার্স।

এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো, তার তিন সন্তান, জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা বিরোধী রাজনীতিবিদ, সংবাদ আউটলেট, ব্যবসায়ী নেতা এবং ক্যাথলিক চার্চকে কঠোরভাবে দমন করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, নিকারাগুয়ান পৌরসভার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এখন পর্যন্ত এই ধরনের বিধিনিষেধের আওতায় সহাস্রাধিক ব্যক্তিকে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি আরও বলেন, গত আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো সেন্ট্রাল আমেরিকান ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট্রাল আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভিত্তিহীনভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। নিকারাগুয়ার উচ্চশিক্ষার বিখ্যাত কেন্দ্র এই দুটি প্রতিষ্ঠান।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ওর্তেগা ও মুরিলো স্বাধীন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। নিকারাগুয়ানদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলার পথকে ব্যাহত করেছেন।

নিকারাগুয়ার সরকার গুরুতর ও নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি দল গত মার্চে মাসে বিষয়টি আলোচনায় বসেছিল। পরে তারা জানায়, নিকারাগুয়ার সরকার ২০১৮ সাল থেকে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড ও নির্বিচারে আটকে রাখার মতো কাজ করেছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সরকার একাধিক ক্যাথলিক রেডিও স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলায় গ্রেপ্তার তালিকার মধ্যে বেশ কয়েকজন পুরোহিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে আলভারেজ অন্যতম। সরকারের কাজ অবমূল্যায়ন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও সরকারি কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে আলভারেজকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাকে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনের প্রস্তাব দেয়া হয়। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর তার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে দেশটির সরকার।

এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রায়ান নিকোলস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, আমরা নিকারাগুয়ায় বিশপ আলভারেজের অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং পদ্ধতিগত দমন-পীড়নের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।