প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে নিখোজের তিনদিন পর মিললো সাবেক পৌর কাউন্সিলারের পুত্রের লাশ। নিহতের নাম মংলুমাং মারমা (৫২)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ডের কালাঘাটা নিজবাসা থেকে গতবুধবার বাগান দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যান ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক যুবক। তারপর বাড়ি ফিরে না আসায় রোয়াংছড়ি থানায় সন্তান নিখোঁজের জিডি করেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর উসাচিং। এ ঘটনায় পুত্র নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কয়েকজন পাহাড়ী পুলিশকে খবর দেন রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের ত্রিশটিলা পাহাড়ের ঝিরির পাশে এক জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম মংলুমাং মারমা (৫২)। সে বান্দরবান পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর উসাচিং মারমার পুত্র। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের হাতের আঙ্গুল কাটা এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাস বলেন, মংলুমাং মারমা গত বুধবার থেকে নিখোঁজ। বাগান দেখানোর কথা বলে পাহাড়ী একজন যুবক তাকে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন শোনেছি। স্থানীয়রা পাহাড়ীরা পাহাড়ে লাকড়ি কাঠতে গিয়ে লাশটি দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ভয়ে কদিন কাউকে বলেনি। খোঁজাখুজির খবর পেয়ে পরে তারা পুলিশকে জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ছেলেটি আমার ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর উসাচিং মারমার পুত্র।
নিহতের পিতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর উসাচিং মারমা বলেন, আমার পুত্রকে কারা কেন হত্যা করেছে জানিনা। তারসাথে কারোর কোনো শত্রুতাও ছিলোনা। পুত্রবধূ লামা উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করে। মাসের অধিকাংশ সময় স্ত্রীর কাছে লামায় থাকতো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে কারা জড়িত এখনো নিশ্চিত নয়।