নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে বন্দর টার্মিনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ২০২৪ সালে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এ টার্মিনালে তিনটা টার্মিনালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর মাল্টিপারপাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করবে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজও চলছে। তবে বে টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের টাকার সমস্যা হলে সরকার সহযোগিতা করবে। পদ্মা সেতুর মতো বে টার্মিনালও হবে বাংলাদেশের গর্ব।

গতকাল নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহরের ‘বে-টার্মিনাল’ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বে-টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী উচ্ছ্বসিত ছিলেন। কভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে। বঙ্গবন্ধুর কথা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তাই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে দায়িত্ব দেয়া হবে।

ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পায়রাতেও জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়েছি। সঠিক ব্যক্তি যাতে টাকা পায় সেটা জেলা প্রশাসন দেখবে। প্রকৃত জমির মালিক ন্যায্য পাওনা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা দিচ্ছেন। আগে জমি অধিগ্রহণের কথা শুনলে পালিয়ে যেত মানুষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও সুলতানা আফরোজ, চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

সুলতানা আফরোজ বলেন, বে-টার্মিনাল নির্মাণে যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করছে তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। দেশের স্বার্থরক্ষা করে কাজ দেয়া হবে। সিঙ্গাপুর, চীনা, ডেনমার্কসহ অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান আসছে। তাদের সঙ্গে জুম মিটিং হচ্ছে। আমাদের সমন্বয় খুবই শক্তিশালী। সরেজমিন দেখে যাওয়ায় কাজে সুবিধা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ করছি। স্টাডি আপডেট করার জন্য নতুন কনসালট্যান্ট নিয়োগ করছি। এরপর ই-টেন্ডার হবে। ২০২৪ সালের আগেই দু-একটা টার্মিনাল চালু করতে চাই। সব নির্ভর করবে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তের ওপর। দায়িত্ব, আন্তরিকতা দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বে-টার্মিনালে ৩টি টার্মিনাল হবে। এর মধ্যে টার্মিনাল-১ চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে হবে। বে-টার্মিনালে ২২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। ১১ কিলোমিটারের প্রাকৃতিক আইল্যান্ড আছে, যা ব্রেক ওয়াটার হিসেবে কাজ করবে। এ টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা অপারেশন চলবে। ১৫ হাজার ট্রাক রাখার ব্যবস্থা থাকবে।