Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 11:40 am

নির্বাচনের প্রচারে নিষিদ্ধ পোস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সংসদীয় নির্বাচন আচরণবিধি ২০২৫-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আইনে নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ কমিশনের সভার ফলাফল তুলে ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদীয় নির্বাচন প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সভাটি হয়।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিদ্যমান নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পর নীতিগতভাবে খসড়া আইনটি অনুমোদন করা হয়েছে।
এই আইন লঙ্ঘনের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পরিবর্তে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

মাইকে প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবলে রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রচারণার সময় তিন সপ্তাহ থাকছে। টিভিতে সংলাপের সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব প্রার্থী সভাপতি বা সদস্য হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন বা মনোনীত হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর, সেখান থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’

সানাউল্লাহ বলেন, বিধিমালা লঙ্ঘনে যে নরমাল শাস্তি ছিল, ছয় মাস কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এবার জরিমানা সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকার প্রস্তাব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামা নতুনভাবে সংযোজিত করা হয়েছে। দল ও প্রার্থী উভয়ই একটা হলফ নামা দেবে যে, তারা এই আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘কমন প্ল্যাটফর্ম বলতে- রিটার্নিং অফিসাররা সংশ্লিষ্ট আসনের সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে একদিনে তাদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া বিভিন্ন টিভি মিডিয়াতে যে ডায়ালগের আয়োজন করে, তাতে সম্মতি দেয়া হয়েছে।’